আক্কেলপুরে ধানখেত থেকে ফ্লেক্সিলোড দোকানির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম প্রতিদিন রাত আটটার পর দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরতেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এক ব্যক্তি ফসলি মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় ধানখেতে রক্তাক্ত একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি এসে গ্রামের লোকজনকে ঘটনাটি জানান। এরপর গ্রামের লোকজন ও তাঁর স্বজনেরা গিয়ে আশরাফুলের লাশটি শনাক্ত করেন। তাঁরা থানা-পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির মাথা থেঁতলে গেছে। গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল।

আশরাফুলের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ বলেন, আশরাফুল বাড়িতে ফিরছিলেন না। রাত দশটার দিকে আরেক ভাই দোলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে আশরাফুলকে কল করেছিলেন। তখন আশরাফুল বাড়িতে আসার কথা বলেন। এরপর আর মুঠোফোনে কথা হয়নি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ধানখেতে লাশ পড়ে থাকার খবর পান তিনি।
গ্রামবাসীদের একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাত আটটার পর আশরাফুল দোকান বন্ধ করে সরাসরি বাড়ির আগে তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ের আসেন। তাঁকে কলেজের শহীদ মিনারে বসে মুঠোফোনে কথা বলতে দেখেছেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ইট দিয়ে আশরাফুলের মাথা থেঁতলে দিয়েছে। হত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রেমঘটিত ব্যাপারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন।