সাতক্ষীরায় জলবায়ু ধর্মঘটে সংহতি জানালেন পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা
বৈশ্বিক জলবায়ু কর্ম সপ্তাহ (গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাকশন উইক) উপলক্ষে জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচিতে পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা উপকূলের দুর্গত মানুষের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দুর্গাবাটি গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর তীরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এটি আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বারসিক।
শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে ম্যারাথন দৌড় দিয়ে যুবকেরা ধর্মঘট কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে নানা দাবিসংবলিত ব্যনার, পোস্টার, ফেস্টুন ও স্লোগানের মাধ্যমে সবাই অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন বন্ধের আহ্বান জানান। যুবকেরা দুর্যোগ প্রস্তুতিবিষয়ক নাটক পরিবেশন করেন। ভাঙনকবলিত এলাকার কয়েক শ যুবক দাবি তুলেছেন, ‘আমরা আর ডুবে মরতে চাই না।’
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের কাছে জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য স্মারকলিপি দেন। কর্মসূচিতে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হকসহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিসহ নানা পেশার মানুষ অংশ নেন।
গবেষক পাভেল পার্থ ধর্মঘট কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন। এতে সংহতি প্রকাশ করেন ব্রাজিলের প্রতিনিধি প্রিসিলা কবো, সোমালিয়ার প্রতিনিধি মোহামেদ আইদারুস মোহাম্মদ, সিয়াদ আদনান মোহাম্মদ, কেনিয়ার প্রতিনিধি জিমি কার্টার, শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি কুমুদু সুমঙ্গলী অতুলুগামা ও বলিভিয়ার প্রতিনিধি এরিয়াল মার্শেলো শ্যাভেজ।
টেকসই বেড়িবাঁধ, জলবায়ু অভিযোজন, বৈশ্বিক তহবিলের দাবিতে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি মর্জিনা খাতুন, মাজহারুল ইসলাম, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, কৃষকনেতা শেখ সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পদকপ্রাপ্ত কৃষক অল্পনা রানী, চারুলতা ধানের উদ্ভাবক দিলীপ তরফদার, বনজীবী নারীনেত্রী শেফালী বিবি, গাজী আলম ইমরান, চম্পা মল্লিক, রুবিনা হক, মনিকা পাইক, বরষা গাইন, লিপিকা রানী প্রমুখ। যুব জলবায়ু সংগঠক রাইসুল ইসলাম, আনিসুর রহমান জলবায়ু ধর্মঘটে সংহতি প্রকাশ করেন।