মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান, ইকবাল হোসাইন, নাজমুল হাসান ও মাসুম। মানববন্ধনে তাঁরা বলেন, ৮ মার্চ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়েছে। অথচ এখনো একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা সংহতি জানান। বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখ, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, মোহাম্মদ আইনুল হক, এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, সাহেদুর রহমান, জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

শিক্ষকনেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার চান তাঁরা। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রক্টরের ওপর দোষারোপ করা অযৌক্তিক। শিক্ষকসমাজ কোনোভাবেই এই অপপ্রচার সহ্য করবে না। একজন পরিশ্রমী প্রক্টরকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা দুঃখজনক। এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য উপাচার্যের কাছে দাবি জানান তাঁরা।

৬ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ৭ মার্চ বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহকে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ৮ মার্চ বেলা দুইটায় ছাত্রলীগের এই দুই নেতা ও সাইদুল ইসলাম রোহানকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিলুপ্ত কমিটির নেতারা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেন। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলি এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন এবং প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। এ ঘটনায় তাঁরা ৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলনও করেন।