দিনাজপুরে প্রীতি ক্রিকেট খেলা ঘিরে রাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সৈয়দ আমীর আলী হলের সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। শনিবার সকালে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহবস্তি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কারও বয়স ৫০, কারও বয়স ৩৫। কেউ পড়তেন বাংলায়, কেউবা ইতিহাসে। কেউ থাকতেন মাদার বখশ হলে, কেউ হবিবুর রহমান হলে। এখন কেউ করছেন সরকারি চাকরি, কেউ আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এমন সব মানুষের উপস্থিতিতে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহবস্তি এলাকার মাঠ যেন হয়ে উঠেছিল একটুকরো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ শনিবার সকালে ঈদগাহবস্তি মাঠে প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন দিনাজপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির (রুসাদ) সদস্যরা। খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৈয়দ আমীর আলী হল, রানার্সআপ হয়েছে হবিবুর রহমান হল।

বেলা ১১টায় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন রুশাদের সভাপতি ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য আশফাক হোসেন সরকার।

ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে মাঠে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। রঙিন জার্সি পড়েছেন সকলে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনায় চারটি দলে ভাগ হন খেলোয়াড়রা। নকআউট পর্বের দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুই গ্রুপের চূড়ান্ত খেলায় ১০ উইকেটে হবিবুর রহমান হলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সৈয়দ আমীর আলী হলের সাবেক আবাসিক শিক্ষার্থীরা। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন আমীর আলী হলেন চঞ্চল সরকার। তিনি দিনাজপুরে এশিয়া ব্যাংকে কর্মরত। ক্রিকেট খেলা শেষে মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুসাদের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘মানুষ মাত্রই স্মৃতিকাতুরে। পড়ালেখা শেষে প্রত্যেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছি। একটা যান্ত্রিক জীবন অতিবাহিত করছি। মাঝেমধে৵ এভাবে একত্র হলে মনে আনন্দ আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সোনালি দিনের স্মৃতি হাতড়ালে একটুখানি প্রশান্তি পাওয়া যায়। পরস্পর পরস্পরের পাশে থাকা যায়।’

রুসাদের সাংগঠনিক সম্পাদক দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষক রাশিকুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য দুই শতাধিক। সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে তাঁরা একত্র হন। নিজেরা চাঁদা তুলে অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। বিভিন্ন উপলক্ষে নিজেরাও মিলিত হয়ে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেন।