নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নেমে মারা যান দুই নির্মাণ শ্রমিক। বুধবার সন্ধ্যায় তোলা ছবি
প্রথম আলো

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর উত্তরপাড়া মণ্ডলবাড়ির–সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

নিহত দুজন হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে মো. মাসুম (২৪) ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার দিঘজান গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে মো. মোখলেছ (৪৫)। দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার আবু সাঈদের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে নিখোঁজ হন তাঁরা। বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের।

স্থানীয় লোকজন জানান, বছরখানেক আগে খনন করা সেপটিক ট্যাংকে পানি জমেছিল। এটি প্রায় ১২ ফুট গভীর। নির্মাণকাজ করার সময় ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে কিছু কাঠ-বাঁশ পড়ে যায়। সেগুলো তুলতে দুপুর ১২টার দিকে মাসুম ও মোখলেসের ট্যাংকের ভেতরে নামেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ তাঁরা দুজন নিখোঁজ ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন বিকেল চারটার দিকে ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দুজনের খোঁজ করেন। এ সময় সেখানে তাঁদের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এসে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

শ্রীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির শুধু সিঁড়ি ও পিলার স্থাপন করা হয়েছে। সিঁড়ির পাশে কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরি ছোট্ট ঘরে নির্মাণশ্রমিকেরা থাকেন। সেপটিক ট্যাংকের তলানিতে পানি জমে ছিল। তবে এটি পয়োবর্জ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছিল না।

ওই বাড়ির মালিক আবু সাঈদ প্রবাসে থাকেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সেপটিক ট্যাংকে গ্যাসের প্রভাবে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতনদের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।