মানিকগঞ্জে সব কটি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের সব কটিতেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে যাচাই–বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনে হাসান সাঈদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনে এস এম আবদুল মান্নান এবং মানিকগঞ্জ-১ ও মানিকগঞ্জ–৩ আসনের জহিরুল আলম। এর মধ্যে ঋণখেলাপির দায়ে আবদুল মান্নান ও জহিরুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আর হাসান সাঈদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তিতাস গ্যাসের বিল বকেয়ার দায়ে।
এ ছাড়া আরও ৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী বিভিন্ন দলীয় ও স্বতন্ত্র ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে আয়কর রিটার্ন ও সমর্থক ভোটারদের স্বাক্ষরে গরমিলের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আলী বেপারী, হলফনামা ও আয়কর রিটার্ন না থাকায় জাতীয় পার্টির (জেপি) মো. আফজাল, ঋণখেলাপির কারণে বিএনএমের মোনায়েম খান এবং আয়কর রিটার্ন না থাকায় গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী অন্য আসনের ভোটার হওয়ায় তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিলের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং রাজনৈতিক দলের প্রত্যয়নপত্র না থাকায় আওয়ামী লীগের (ডামি প্রার্থী) সারোয়ার আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী অন্য আসনের ভোটার হওয়ায় মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাবিনা বেগমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ৩০ নভেম্বর। এ সময়ে জেলার তিনটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। আজ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিলনাতয়ন কক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে জেলার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন, যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলের সুযোগ রয়েছে।