টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা, ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় টিসিবির ডিলার আশরাফ উদ্দীনের দোকানে বিভিন্ন পণ্যের বস্তা ও বোতলে লাগানো টিসিবির স্টিকার খুলে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) বিভিন্ন পণ্য কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে এক পরিবেশকের (ডিলার) লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের জন্য উপজেলা প্রশাসনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় ওই পরিবেশকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুলাউড়ায় থানায় মামলাও হয়েছে।

অভিযুক্ত পরিবেশকের নাম আশরাফ উদ্দীন ওরফে চিনু। তিনি কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় থাকেন। সেখানে ‘আশরাফ ট্রেডার্স’ নামের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তিনি টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন।

উপজেলা প্রশাসন ও কুলাউড়া থানার পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ৮ ডিসেম্বর বিকেলে ওই প্রতিষ্ঠানে টিসিবির বরাদ্দ হওয়া চিনি ও ডালের মোড়ক খুলে আলাদা বস্তায় ভরা হচ্ছিল। এ ছাড়া সোয়াবিন তেলের বোতলে ‘টিসিবি’ লেখা লেবেল মুছে ফেলা হচ্ছিল। কালোবাজারে বিক্রির জন্য এ কাজ চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ সেখানে অভিযান চালান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে এ কাজে জড়িত লোকজন দ্রুত সটকে পড়েন।

পরে সেখান থেকে ৫৫৪ লিটার তেল, ৭৯২ কেজি ডাল, ৪২১ কেজি চিনি ও ২০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে ওই দিনই কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে টিসিবির পরিবেশক আশরাফ উদ্দীনসহ অজ্ঞাতনামা আরও এক-দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আসামিরা পলাতক। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মুঠোফোনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত পরিবেশক আশরাফ উদ্দীনের লাইসেন্স বাতিলের জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকায় টিসিবির ডিলার আশরাফ উদ্দীনের দোকানে বিভিন্ন পণ্যের বস্তা ও বোতলে লাগানো টিসিবির স্টিকার খুলে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়
ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে টিসিবির মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ইসমাইল মজুমদার বলেন, আশরাফ উদ্দীনকে সর্বশেষ গত ২৬ নভেম্বর ১ হাজার ৪৩০টি ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে ১ হাজার ৪৩০ কেজি চিনি, ২ হাজার ৮৬০ লিটার তেল ও ২ হাজার ৮৬০ কেজি ডাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের চিঠি পেলে ওই পরিবেশকের লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।