যশোরের পৌর কাউন্সিলর জাহিদসহ চারজনকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনসহ চারজনকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন শহরের টালিখোলা এলাকার শেখ দস্তগীর হোসেন (৪৪), কদমতলা এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৭) ও টালিখোলা এলাকার মারুফুজ্জামান (৩৯)। তাঁরা কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনের সহযোগী। পরে পুলিশ তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার জাহিদ হোসেন যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা আছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসেন বলেন, ‘মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মদ পানের সরঞ্জাম ও দুই বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনসহ সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।’

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে যে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার একটি ভবনের কক্ষে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে গোলযোগ করছেন। এরপর পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনসহ তাঁর ওই তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ আছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে দুবাই চলে যান তিনি। নাগালের বাইরে থাকায় তখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি যশোরের পুলিশ। দুবাই থেকে দেশে ফেরার পথে জাহিদকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরোনো কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম ওরফে সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জাহিদ হোসেন। ওই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জাহিদের নাম উঠে আসে। এ ছাড়া একাধিক মামলা আছে তাঁর বিরুদ্ধে।