মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান আনোয়ার উল আলমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় ‘রণাঙ্গনের রণদূত: আনোয়ার উল আলম শহীদ’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা
ছবি: প্রথম আলো

আনোয়ার উল আলম মুক্তিযুদ্ধে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় টাঙ্গাইলের মুক্তাঞ্চল থেকে ‘রণাঙ্গন’ পত্রিকা বের হতো। মুক্তিযুদ্ধে এর অবদান অপরিসীম। পরে একজন কূটনীতিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। চাকরিজীবন শেষে বসে থাকেননি। নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম ওরফে শহীদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার টাঙ্গাইলে আয়োজিত স্মরণসভা ও স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সদর উপজেলার বরুহায় বেসরকারি সংস্থা ‘বুরো বাংলাদেশ’-এর মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও হাসান ইমাম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক, সরকারি সা’দত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি মাহমুব সাদিক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনসুরুল আলম, আনোয়ার উল আলমের স্ত্রী সাঈদা খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মো. এনায়েত করিম, বুরো বাংলাদেশের পরিচালক (অর্থ) মোশারফ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খন্দকার নাজিম উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ গ্রন্থাগারের সদস্যসচিব কবি মাহমুদ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা গণসংগীতশিল্পী এলেন মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া ভার্চ্যুয়ালি সেক্টর কমান্ডার ফোরামের হারুন হাবিব, চলচ্চিত্র প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, নলেজ ট্রাস্টের সদস্যসচিব বিধান চন্দ্র পাল, প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বাবু ও আনোয়ার উল আলমের মেয়ে র‌্যামোনা আনোয়ার বক্তব্য দেন।

এর আগে বুরো বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে আনোয়ার উল আলমের নামে একটি মিলনায়তনের উদ্বোধন করা হয়। শেষে ‘রণাঙ্গনের রণদূত: আনোয়ার উল আলম শহীদ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।