লামার ম্রো ও ত্রিপুরার জমির বিষয়ে তদন্তে মঙ্গলবার আসছে সংসদীয় উপকমিটি

বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বান্দরবানের লামা সরইয়ে তিনটি ম্রো ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীর জুমচাষের জমি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিরোধের বিষয়টি তদন্তে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি একটি উপকমিটি গঠন করেছে। চার সদস্যের ওই উপকমিটির সদস্যরা জমি বিরোধ তদন্তে আগামীকাল মঙ্গলবার বান্দরবানে আসছেন।

কমিটি আগামী বুধবার বিরোধীয় জমি পরিদর্শনে যাবে বলে উপকমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আজ সোমবার রাতে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।  

উপকমিটির সচিব ও সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (আইন) হুমায়রা তাসনিমের স্বাক্ষরিত বান্দরবান সফরসংক্রান্ত চিঠিতে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক স্থায়ী কমিটির গঠিত ২ নম্বর উপকমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যরা আগামীকাল মঙ্গলবার বান্দরবানে যাবেন। উপকমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। সদস্যরা হলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। তাঁরা বুধবার রেংয়েনপাড়া, লাংকমপাড়া ও জয়চন্দ্রপাড়ার পাড়াবাসীর সঙ্গে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির বিরোধীয় জমি পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে রাত ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে একান্ত বৈঠক করবেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার উপকমিটির প্রথম বৈঠক জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে করা হবে।  

কমিটির পরিদর্শনের সময় ও বৈঠকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (আইন) ও কমিটির সচিব হুমায়রা তাসনিম, কমিটির আহ্বায়কের একান্ত সচিবসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। কমিটির এ সফরে স্পিকারের অনুমোদন রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, লামা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সরই ইউনিয়নের রেংয়েনপাড়া, লাংকমপাড়া ও জয়চন্দ্রপাড়ার জুমচাষের ৩৫০ একর জমি গত বছরের ২৬ এপ্রিল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে তোলপাড় হয়। পাড়াবাসী ম্রো ও ত্রিপুরাদের অভিযোগ লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কোম্পানি পরিকল্পিতভাবে তাঁদের জমি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার ঠিক এক বছরে সংসদীয় উপকমিটি বিষয়টি তদন্তের জন্য সেখানে যাচ্ছে। তবে রেংয়েনপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) রেংয়েন ম্রো বলেছেন, লামা রাবার কোম্পানির মামলায় লাংকমপাড়ার কার্বারি লাংকম ম্রো এখন কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া পাড়ার অনেকে এখন মামলার কারণে পালিয়ে রয়েছেন।