নারী পাচারের অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ দুজন গ্রেপ্তার, ৫ কিশোরী উদ্ধার

খাগড়াছড়ি থেকে নারী পাচারের অভিযোগে এক চীনা নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। আজ রোববার ভোরে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে চীনা নাগরিক জিসাও সুহুইকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে পাঁচ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে পাচার চক্রের মূল হোতা সুমি চাকমাকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। আজ সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

পুলিশ সুপার জানান, সুমি চাকমা বিভিন্ন মাধ্যমে খাগড়াছড়ির পানছড়ির এক কিশোরীকে চীনে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে সে রাজি হয় এবং তার এক বান্ধবীকে জানালে সেও চীনে যেতে রাজি হয়। সুমির কথা অনুযায়ী তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে এলে সেখানে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে ঘরে আটকে রাখা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে অভিযোগ জানালে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে ঢাকার উত্তরার ফ্ল্যাট থেকে জিসাও সুহুই নামের এক চীনা নাগরিককে আটক করা হয়। এ সময় ফ্ল্যাটে আটকে রাখা মোট পাঁচ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পাঁচ কিশোরীর দুজন খাগড়াছড়ির এবং তিনজন রাঙামাটির বাসিন্দা। তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

নারী পাচারের এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চীনা নাগরিককে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।