ভাঙ্গা-রূপদিয়ায় দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে ৬০ কিলোমিটার গতিতে

ভাঙ্গা থেকে রূপদিয়া রেলপথে দ্বিতীয় দিনে ছেড়ে যাওয়া পরীক্ষামূলক ট্রেনটি আজ চলছে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। ট্রেনে ছাড়ার আগে ভাঙ্গার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে জংশনেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও যশোরের রূপদিয়ার মধ্যে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে। আজ মূল লাইনে এই ট্রেন সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলে। আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে একটি ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি আছে।

গতকাল শনিবার সকালে পাথরভর্তি মালবাহী তিনটি বগি নিয়ে এবং দুপুরে যাত্রীবাহী পাঁচটি বগি নিয়ে দুই দফা এ পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে। তবে গতকাল ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি উঠেছিল ঘণ্টায় ১২৩ কিলোমিটার।

ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পয়েন্টম্যান মো. নাঈম ইসলাম বলেন, পাঁচটি বগি নিয়ে আজ সকালে বিশেষ ওই পরীক্ষামূলক ট্রেন ভাঙ্গা জংশন থেকে ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ দূরের যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

আরও পড়ুন

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার সাকিবুর রহমান বলেন, আজকের ট্রেনটি এই রেলপথের প্রতিটি স্টেশনের লুপ লাইন (মূল লাইন থেকে স্টেশনে যাওয়ার লাইন) দিয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে এবং আরেকটি লুপ লাইন দিয়ে বেরিয়ে মূল লাইনে চলাচল করবে। মূল লাইনে ট্রেনটি ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলার কথা। পথে নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল, জামদিয়া, পদ্মবিলা এবং সবশেষে রূপদিয়া স্টেশনে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি দাঁড়াবে। ট্রেনটি আজই ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে ফিরে আসবে। এতে চালক হিসেবে আছেন মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং পরিচালক হিসেবে আছেন তাপস।

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।