জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় দুই নম্বর আসামি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন। পরে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে যে দুপুরে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতে অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দ্বীন ইসলামের জামিনের আবেদন করা হয়। আদালতে জামিনের পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। পরে জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আবু বকর সিদ্দিক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ছিলেন। পরে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দ্বীন ইসলামের আইনজীবী স্বর্ণ কমল নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, একজন সম্মানিত শিক্ষককে একটি মামলায় এভাবে আটকে রাখা ঠিক নয়। তিনি জামিনের যোগ্য ও সম্মানিত ব্যক্তি। সহকারী প্রক্টর হিসেবে তিনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কুমিল্লা নগরের দমকল পুকুরের উত্তরপাড়ে অবস্থিত অরণি বাসার দ্বিতীয় তলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম কোতোয়ালি মডেল থানায় শনিবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
ওই মামলায় রোববার আসামি দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। সোমবার আদালতে হাজির করার পর আম্মানকে দুই দিন ও দ্বীন ইসলামকে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাঁদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। দ্বীন ইসলামের রিমান্ড শেষে আজ জামিনের আবেদন করা হয়েছিল।