কুমিল্লায় ২ শিশুকে হত্যার দায়ে নারীর মৃত্যুদণ্ড, সহযোগীর যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লায় অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় দুই শিশুকে হত্যার দায়ে ইয়াসমিন বেগম (২৮) নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং তাঁর সহযোগী মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ইয়াসমিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী এবং আর মাজেদা একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতের এজলাসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ইয়াসমিনের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে ভাশুর বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (৮)। পরে ওই শিশুকে এলাকার একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে হত্যা করেন ইয়াসমিন। তখন খুনের ঘটনা দেখে ফেলে চাচা শ্বশুরের ছেলে জসিম উদ্দিন (৭)। পরে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ওই দুই শিশুকে হত্যায় ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করেন মাজেদা বেগম। ঘটনার পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত বছর মাজেদাকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে প্রধান ও মাজেদাকে ২ নম্বর আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত ইয়াছিন আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।