পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। দালালের সহায়তায় তাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া সীমান্ত এলাকার ৭৪৯ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর সাবপিলার–সংলগ্ন এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এঁদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও চারজন পুরুষ ছিলেন। রাতেই তাঁদের পঞ্চগড় থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনের নামে (শিশুটি ছাড়া) পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করে বিজিবি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ডাবরী জিনেস্বরী এলাকার গণেশ রায় (৪৩), তাঁর স্ত্রী ববিতা রায় (৩৬), তাঁদের ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে, একই উপজেলার মাহানপুর এলাকার ভুট্টু রায়ের ছেলে দেবেন্দ্র রায় (২২) ও রাজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে রিপন রায় (১৯) এবং জতমুকুন্দপুর এলাকার ফণী রায়ের ছেলে জয়ন্ত রায় (১৯)।
গতকাল রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার রহমতুল কবীর বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, তাঁরা এক লাখ টাকার বিনিময়ে দিনাজপুরের একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ভারতে তাঁদের স্বজন আছে। তবে তাঁদের আটকের সময় ঘটনাস্থলে কোনো দালালকে খুঁজে পায়নি বিজিবি। তাঁদের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন, আট হাজার টাকা এবং ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের বিভিন্ন গয়না জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহাম্মেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একটি শিশুসহ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে থানায় নিয়ে আসে বিজিবি। ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে শিশুটি ছাড়া পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকের নামে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচজনকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।