ময়মনসিংহে মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে তরুণ কবি আটক

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

পোস্টারের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে তরুণ কবি ও গ্রাফিক ডিজাইনার শামীম আশরাফকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে শহরের আঠারোবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় অবস্থিত তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

গতকাল রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শামীম আশরাফকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাত এবং আজ সোমবার সকালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিনকে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

আজ সকাল ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে কথা হয় ডিউটি অফিসের কক্ষে থাকা দুজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। তাঁরা শামীম আশরাফকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আজ সকালে থানায় গিয়ে দেখা যায়, শামীম আশরাফের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘গ্রাফিটি’র দুজন কর্মী থানায় এসেছেন তাঁর খোঁজ জানতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ‘গ্রাফিটি’তে যান। তাঁরা শামীম আশরাফকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক পোস্টার তৈরি না করতে বলেন। ওই সময় বিষয়টি তাঁরা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ‘গ্রাফিটি’তে আসেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেয়রের বড় ভাই মো. আমিনুল হক শামীম। পরে পুলিশ শামীম আশরাফকে তুলে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আজ সকালে মুঠোফোনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা থাকলে, সেটি যৌক্তিকভাবে ও প্রকাশ্যে করা যায়। কিন্তু শামীম আশরাফ সিটি করপোরেশন ও মেয়রের ‍বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারের জন্য বেনামি পোস্টার দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁরা হাতেনাতে এর প্রমাণ পেয়েছেন।

পরে মুঠোফোনে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, শামীম আশরাফকে কী মামলায় আটক করা হয়েছে, মামলার বাদী কে—এসব পরে জানানো হবে।