নাটোরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রতীকী ছবি

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম শাহাদৎ হোসেন (৩৫)। তিনি সিংড়া উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে মেয়েটির মা-বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন স্থানীয় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে যান। এই ফাঁকে শাহাদৎ হোসেন তাঁর বড় ভাইয়ের মেয়েকে বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি ঘটনাটি তার মা–বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বললে শাহাদৎ তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার দায় এড়ানোর জন্য ভাতিজির লাশ ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে বাড়িতে থাকা অপর দুই ভাই–বোন মেয়েটির লাশ দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। তাঁরা ছুটে এলে শাহাদৎ পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে উপস্থিত লোকজনের কাছে ভাতিজিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত মেয়েটির মা বাদী হয়ে শাহাদতের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করেন। মামলাটি সিংড়া থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে শাহাদতের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শাহাদৎ হোসেনকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।