তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া রংপুর অঞ্চল দারিদ্র্যমুক্ত হবে না

রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন নগরের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রোববার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া রংপুর অঞ্চল দারিদ্র্যমুক্ত হবে না বলে মনে করে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, উত্তরের পাঁচ জেলার দেড় কোটির বেশি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের চালিকা শক্তি তিস্তা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। তিন বছরের মধ্যে এই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে।

‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন। আজ রোববার দুপুরে জেলা সার্কিট হাউস হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে ভূরাজনৈতিক ইস্যু ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা আছে। এ ক্ষেত্রে চীনের দ্বারা এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের অনিশ্চিয়তা থেকে যাচ্ছে। বিকল্প অর্থায়ন হিসেবে জাপান, বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী অথবা নিজস্ব অর্থায়নের চিন্তাভাবনাও করতে হবে।

রংপুর বিভাগ দেশের অন্যতম প্রধান কৃষি উৎপাদন অঞ্চল উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তার কারণে এত বড় কৃষি অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অতিবন্যা ও অতিখরা হচ্ছে। তাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া উপায় নেই।

তবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, পরিবেশ-প্রতিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত দেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, পাওয়ার চায়নার প্রস্তাবে শিল্পায়নের কথা বলা হলেও স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন ও কর্মসংস্থানে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বিবেচনায় নিতে হবে। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

সভা সঞ্চালনা করেন রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হাসনাত। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, দৈনিক আমাদের প্রতিদিনের সম্পাদক মাহবুব রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক নেতারা তিস্তাপারের মানুষের দুর্দশার তথ্য-উপাত্তভিত্তিক গবেষণা করার আহ্বান জানান।