চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ নিয়ে যা বললেন টাঙ্গাইলের এসপি

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতির ঘটনা বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার। আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ঘটনা সম্পর্কে জানান।

আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি গত মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে। বাসটি সিরাজগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় থামে রাত ১১টা ১০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিটের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি যাত্রা করে।

এসপি বলেন, বাসটি সেখান থেকে যাত্রা করার পাঁচ মিনিট পর চার যাত্রী বাসে ওঠার জন্য চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখান থেকে চার যাত্রী বাসে ওঠেন। এর পাঁচ মিনিট পর আরও তিন যাত্রী ওঠেন। বাসটি চলতে শুরু করার পাঁচ মিনিট পর আবার তিনজন যাত্রী ওঠেন। এই ১০ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুন

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইল সীমানায় ঢুকে বাসটি চলতে থাকে। বাসটি নাটিয়াপাড়া পার হওয়ার পর এই ১০ জনের একজন চালকের সিটের কাছে যান। অন্য দুজন চালককে সিট থেকে তুলে নিলে ওই ব্যক্তি চালকের আসনে বসেন। বাসটি মির্জাপুরের গোড়াই ওভারপাস পার না হয়ে নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে চলে যায়। বাকি ৯ দুর্বৃত্ত যাত্রীদের সিটের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের জিম্মি করে। পুরুষ যাত্রীদের পোশাক খুলে হাত–মুখ বেঁধে ফেলা হয়। বাসের পর্দা ও সিটের কাভার খুলে নারী যাত্রীদের হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। যাত্রীদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়।

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, বাসটি টাঙ্গাইল থেকে এলেঙ্গা হয়ে কালিহাতী লেন দিয়ে মধুপুরের দিকে যেতে থাকে। রাত ৩টা ২৫ মিনিটে বাসটি মধুপুর সীমানায় ঢোকে। দুর্বৃত্তরা একে একে নেমে যায়। বাসটি রাস্তার পাশে খাদের মধ্যে বা কাত হয়ে পড়ে যায়। ডান দিক দিয়ে বাসের চালক বেরিয়ে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন