রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার স্থগিত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) আবার স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা না পাওয়ার কারণে স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ জামান প্রথম আলোকে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বলেন, ‘আজ বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। সবাই একমত হয়েছে ২৪ তারিখে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তফসিল অনুযায়ী ২৫ তারিখ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটির জন্য সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে; তাই জানুয়ারির ১০ তারিখের পরেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।
এর আগে ১ ডিসেম্বর ব্রাকসু স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তখনো নির্ভুল ভোটার তালিকা না পাওয়া ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরের অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচনী তফসিল পরিবর্তনের পাশাপাশি ভোটের কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
নির্বাচন স্থগিতের কারণ হিসেবে ভোটার তালিকার নানা অসংগতির কথা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহ জামান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল কার্যত স্থগিত রয়েছে মূলত পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা ও নির্ভুল শিক্ষার্থীর তালিকা না পাওয়ার কারণে। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে আজ সকালে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরিসংখ্যান বিভাগের মো. শাহ্জামান, নির্বাচন কমিশনার অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহসীনা আহসান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ভোটার তালিকায় ত্রুটি, শিক্ষার্থীদের একাংশের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানালে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী পরিষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা সভা ত্যাগ করেন।
এর আগে শীতকালীন ছুটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপাচার্যের কাছে জমা দেয়। অন্যদিকে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত তারিখে ব্রাকসু নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।