থানচিতে জঙ্গি ও পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় চলছে
বান্দরবানের থানচিতে র্যাবের সঙ্গে জঙ্গি ও একটি পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের গুলিবিনিময় চলছে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে থানচির রেমাক্রি এলাকায় এ অবস্থা চলছে বলে র্যাবের মিডিয়া উইং থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান প্রথম আলোকে এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, জঙ্গিসংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য এবং পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অবস্থান আমরা জানতে পারি। তারপর ভোর পাঁচটর দিকে অভিযানের প্রস্তুতি নেয় র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে পারে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এখন থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে।
সকাল সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গোলাগুলি চলছিল। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় আজ ভোরবেলা হতে জঙ্গি ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় চলছে।’
ওই সময় জঙ্গিসংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং তার সহযোগী বোমাবিশেষজ্ঞ বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
গত বছরের ১০ অক্টোবর মাসে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ বা নিখোঁজ হওয়া ৩৮ তরুণের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল র্যাব। এসব তরুণ মূলত কুমিল্লা, সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলের বাসিন্দা। তখন র্যাব জানিয়েছিল, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫৫ জনের মতো বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি ছেড়েছেন। তাঁরা সবাই জামাতুল আনসার সদস্য। র্যাবের প্রকাশ করা ৩৮ জনের ওই তালিকার মধ্যে ১৯ জনের উপস্থিতি দেখা গেছে পাহাড়ে প্রশিক্ষণের ভিডিওতে।
তালিকা প্রকাশের পর পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় জামাতুল আনসারের কথিত সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর মুঠোফোনে প্রশিক্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। ওই ভিডিওতে অস্ত্র নিয়ে প্রশিক্ষণের যে দৃশ্য দেখা গেছে, সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের (কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) ক্যাম্পে ধারণ করা। ২০২১ সালের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত কেএনএফের তত্ত্বাবধানে তিনটি ব্যাচে জামাতুল আনসারের ৫৫ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে।