মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন ময়মনসিংহের আদালতে

ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় ‘মায়ের লাশ’ শনাক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরিয়ম মান্নান ও তাঁর বোনেরা। গত শুক্রবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশটি নিজের মায়ের বলে দাবি করা মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ফুলপুর থানা-পুলিশ আবেদনটি আদালতে জমা দেয়।

গত শুক্রবার ফুলপুর থানায় গিয়ে নিজের ও কবর দেওয়া অজ্ঞাতনামা লাশের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন মরিয়ম মান্নান।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, মরিয়ম মান্নানের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন গতকাল আদালতে জমা দিয়েছেন। তবে পরে জানতে পারেন, মরিয়মের মা রহিমা খাতুনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কাজেই এখন আর পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। আদালত অনুমতি দিলেও পরীক্ষার আর প্রয়োজন নেই।

থানা-পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ হন রহিমা খাতুন (৫২)। ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের একটি ঝোপের আড়াল থেকে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ পাওয়া যায়। বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া ওই লাশ গলিত অবস্থায় ছিল। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফুলপুরে অজ্ঞাতপরিচয়ে কবর দেওয়া লাশটি তাঁর মায়ের বলে দাবি করেন। ফেসবুকে লাশের কাপড় দেখে মরিয়ম এ দাবি করেন। শুক্রবার দুই বোন ও ভাবিকে নিয়ে তিনি ফুলপুর থানায় আসেন। কাপড় দেখার পর মরিয়ম দাবি করেন লাশটি তাঁর মায়ের। তিনি ওই লাশ তুলে নিজের গ্রামে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করতে বলে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

পুলিশের দাবি, কবর দেওয়া লাশটির বয়স আনুমানিক ৩০। মরিয়মের দাবি, তাঁর মায়ের বয়স ৫২। অজ্ঞাতনামা লাশের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশের শারীরিক গড়ন ছিল ছোটখাটো। ছোট একটা বস্তায় ছিল লাশটি।

আরও পড়ুন