নাটোর-৩ আসন: নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১১

নাটোরের সিংড়ার সাতপুকুরিয়া বাজারে গতকাল বুধবার রাতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগ-মনোনীত প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ (নৌকা) ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া বাজরে এই সংঘর্ষে ঈগলের ৮ ও নৌকার ৩ সমর্থক আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে চারটি মোটরসাইকেল।

সংঘর্ষে আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা হলেন সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আলী (৬০), জুয়েল হোসেন (৪৫), ফারুক হোসেন (৩৫), সোহাগ আলী (২৫), রনি হোসেন (৩৮), শামিম (৩৪), সালাম খান (৪৮) ও ছালাম আলী (৪৫)। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক আবদুল্লাহ হেল কাফি (২২), মিল্টন আহমেদসহ (২৮) তিনজন আহত হন। তাঁদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের নেতারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

সিংড়া থানার পুলিশ ও সাতপুকুরিয়া বাজারের অন্তত তিনজন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাতপুকুরিয়া এলাকায় গণসংযোগ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে সিংড়া শহরের দিকে আসছিলেন। তাঁরা স্থানীয় বাজারের পাশের সেতুতে উঠলে নৌকার প্রার্থী জুনাইদ আহমেদের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী অতর্কিতভাবে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় ঈগলের সমর্থকেরাও প্রতিরোধ করেন। এতে ঈগলের ৮ ও নৌকার ৩ সমর্থক আহত হন।

পরে তাঁদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের পক্ষ নিয়ে ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলামের নির্দেশে তাঁর মামাতো ভাই আশিক হোসেন, আবদুল্লাহ হেল কাফিসহ ১০ থেকে ১৫ জন হামলা করেন। ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থানে তাঁরা হতাশ হয়েই এই হামলা করেছে।

তবে ইটালী ইউপির চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আমি বা আমার স্বজনেরাও এই ঘটনায় জড়িত নই।’

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে রাতেই একটা লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।