খুলনায় মায়ের লাশ উদ্ধার, সিসি ক্যামেরায় ছেলেকে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে
খুলনা নগরের মিউনিসিপ্যাল ট্রাংক রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪২) নামের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগমের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্প্রতি আরেকজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি স্বামী ও কিশোর ছেলেকে (১৬) নিয়ে খুলনা নগরের ট্রাংক রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। কয়েক দিন আগে স্বামী গ্রামের বাড়ি চলে যান। বাসায় শুধু মা ও ছেলে ছিলেন।
নিহত শিউলী বেগমের বড় মেয়ে জানান, সকাল থেকে মায়ের ফোন বন্ধ পেয়ে তাঁর ছোট বোনকে বিষয়টি জানান। পরে তাঁরা বাসায় গিয়ে দরজায় তালা ঝুলতে দেখেন। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর রাতে আবার এসে একই অবস্থা দেখতে পান। পরে বাড়িওয়ালার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহ হলে তাঁদের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন।
শিউলী বেগমের বড় মেয়ে আরও বলেন, ‘সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় আমরা আবারও আম্মুর বাসায় আসি। এখানে এসে উঁকি দিয়ে দেখি, আম্মুর ঘরের গেটে তালা মারা। পরে বাড়িওয়ালাদের ডাক দিলে তাঁরা আসেন। তালা ভেঙে দেখা যায়, ঘরের খাটের ওপর আম্মুর মরদেহ পড়ে আছে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, আমার ছোট ভাই সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। ঘরে আম্মুর ছয় লক্ষাধিক টাকা ছিল।’
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ ও টাকার বিষয়টি হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। পলাতক ছেলেকে ধরতে অভিযান চলছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর ছেলে ঘটনার পর থেকেই পলাতক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ব্যাগ হাতে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঘটনার সঙ্গে ছেলেটির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।