ট্রাভেল পাস ছাড়া টিকিট বিক্রি, সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদফাইল ছবি

অবৈধভাবে টিকিট বিক্রি করার দায়ে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে জাহাজটিকে জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল পাস ছাড়া পর্যটকদের কাছে অবৈধভাবে টিকিট বিক্রির দায়ে কেয়ারি সিন্দাবাদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রথম দিনের যাত্রা বিবেচনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক না করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জাহাজ কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতের জন্য এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে জানিয়ে নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ‘১ হাজার ৮০০ টাকা করে মূল্য ধরে তিনজন পর্যটককে তিনটি টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। এসব টিকিটে ট্রাভেল পাস ছিল না। কক্সবাজারের বাইরের বাসিন্দাদের সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট কেনার মাধ্যমে জাহাজে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন।’

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয় তিনটি জাহাজ। জাহাজ তিনটি হলো এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ।

৯ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে নভেম্বর মাসে দ্বীপটিতে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর সঙ্গে জাহাজ চলাচলও বন্ধ ছিল। যার কারণে নভেম্বর মাসে একজন পর্যটকও দ্বীপটি ভ্রমণে যাননি।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে, যেখানে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট অবৈধ গণ্য হবে। এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।