বাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর, দিনাজপুরে প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একটি বাসের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা দেড়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে আট দফা দাবিতে বিক্ষোভে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের ফলে সড়কের উভয় পাশে প্রাথমিকভাবে কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। পরে অধিকাংশ যানবাহন রানীগঞ্জ-রামডুবি রোডে চলাচল শুরু করে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাতটায় অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ আলামিন হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রোববার সকালে ওই শিক্ষার্থী নওগাঁ থেকে এইচ এ প্লাস নামের একটি বাসে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। বাসটি বিরামপুর শহরে পৌঁছালে এক নারী যাত্রী বাসচালকের সহকারীকে টাকা দিয়ে কিছু খাবার কিনতে পাঠান। ইতিমধ্যে বাসটি ছেড়ে দেয়। কিন্তু বাসচালকের সহকারী ফেরত আসেননি। এ নিয়ে ওই নারী যাত্রী সুপারভাইজারের কাছে টাকা ফেরত চান। সুপারভাইজার টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী আলামিন হোসেন ওই নারীর পক্ষে চালক ও সুপারভাইজারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাসে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
বিষয়টি আলামিন তাঁর ক্যাম্পাসের কয়েকজন বন্ধুকে মুঠোফোনে জানান। এর মধ্যে বাসটি দিনাজপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছালে সেখানে আলামিনের বন্ধুদের সঙ্গে কয়েকজন বাসশ্রমিকের হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনার সঙ্গে দোষীদের ক্ষমা চাওয়া, শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলাকারীকে আইনের আওতায় আনা, ক্যাম্পাস এলাকা থেকে শহর পর্যন্ত পুলিশ টহল রাখা, বাসের গতি সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার রাখাসহ আট দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ও বাসশ্রমিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার স্বার্থে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছে। শিগগিরই এর সমাধান হবে।