রংপুরে ভরসা গ্রুপের তামাকজাত পণ্যের গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ১০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রংপুর নগরের তাজহাটে রহিম উদ্দিন ভরসা গ্রুপের তামাকজাত পণ্যের গুদাম ও মশার কয়েল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর নগরের তাজহাটের আনসারির মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর বুধবার বেলা দুইটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, ভরসা গ্রুপের আজিজ বিড়ি তৈরি কাঁচামাল তামাকের গুদামে রাতে আগুন ধরে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ভোর চারটার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা দেখে পার্শ্ববর্তী হারাগাছ ফায়ার স্টেশন থেকে আরও দুটি ইউনিট আসে।
আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গুদাম ও মশার কয়েল তৈরির কারখানা লাগোয়া। তামাকজাত পণ্যের গুদাম থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছে। রহিম উদ্দিন ভরসা অ্যান্ড কোং লিমিডেটের টাইগার হেড মশার কয়েল কারখানাটি আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। পানিসংকট ও অনেক দূর থেকে পানি পরিবহন করায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব হয়েছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এসব কারখানা ও গুদাম করার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস থেকে মশার কয়েলের কারখানার অনুমোদন নিলেও গুদামের অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আজিজ বিড়ির ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান অনুমোদনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
রংপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রংপুর কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশার কয়েল তৈরির কারখানার গত বছর পর্যন্ত নিবন্ধন থাকলেও পরে নবায়ন করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির পরিদর্শক ঠাকুর পীযূষ মোহন রায় প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। তামাকজাত দ্রব্যের গুদামের বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। এখন তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে রংপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়েও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মশার কয়েল তৈরির কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই।