পাঁচ লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত চার রোহিঙ্গা

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী আশ্রয়শিবির থেকে অপহৃত চার রোহিঙ্গা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে আশ্রয়শিবিরের ডি-২০ ব্লকের একটি দোকানের সামনে থেকে দুই কিশোরসহ পাঁচ রোহিঙ্গা অপহৃত হন।

অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবার বলছে, দুর্বৃত্তরা এই পাঁচজনের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। মুক্তিপণ না পাওয়ায় গত শনিবার রাতে অপহৃত পাঁচজনের একজন জাহাঙ্গীর আলমের (১৬) বাম হাতের কবজি কেটে এলাকায় পাঠানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে বাকি চারজনের পরিণতিও জাহাঙ্গীরের মতো হবে বলে হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। দর–কষাকষি শেষে গতকাল পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হলে এই চারজনকে ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আহত জাহাঙ্গীর বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফিরে আসা চার রোহিঙ্গা হলেন আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ডি-২২–এর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), মোহাম্মদ সুলতান (২৪), আবদুল্লাহ (১৬) ও আনোয়ার ইসলাম (১৮)। তবে ফিরে আসার ঘটনা নিয়ে তাঁদের চারজনের কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।

গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে অপহৃত চার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ফিরে এসেছেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপ–অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা। তবে মুক্তিপণ দিয়ে তাঁদের ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন বলেন, জাহাঙ্গীরের হাতের কবজি কাটার ঘটনায় অপহৃত পরিবারগুলোয় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এ কারণে বিভিন্নজনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা সংগ্রহ করে দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।