অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন খুলনার মনি মোহন

অ্যামাজনে চাকরির আগে মনি মোহন জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করতেন
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশের মনি মোহন মণ্ডল। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তিনি অ্যামাজনের এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি বিভাগে কাজ শুরু করবেন। তাঁর অফিস জার্মানির কাইজারস্লাউটার্ন শহরে।

মনি মোহন মণ্ডলের বাড়ি খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ সদর ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর তিনি জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে পানিসম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দেন।

চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে মনি মোহন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা ছিল বৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করার। একদিন অ্যামাজনে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি। তবু আশা করিনি যে সাক্ষাৎকারের ডাক পাব। ২০-২৫ দিন পর হঠাৎ একদিন প্রথম সাক্ষাৎকারের মেইল পেলাম।’ তিনি জানান, দুই মাসে চার ধাপে তাঁর সাক্ষাৎকার নেয় অ্যামাজন। এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে চূড়ান্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মনি মোহন বলেন, ‘অ্যামাজন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় তিন কোম্পানির একটি। এখানে চাকরির সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। আশা করি, এখান থেকে অনেক নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে শিখতে পারব।’

অ্যামাজন বা এমন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে পরিবেশসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন বিশ্বব্যাপী সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও সাসটেইনেবিলিটি বিভাগগুলো আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এসব জায়গায় অনেক নতুন নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে। একটু গুছিয়ে প্রস্তুতি নিলে সুযোগ পাওয়া যাবে।

মনি মোহন জার্মানিতে তাঁর কয়েক বন্ধুকে নিয়ে ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেন্ড গ্লোবাল (www.ascend-global.org) গড়ে তোলেন। এর মাধ্যমে ইউরোপ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ইতিমধ্যে খুলনা জেলার বিভিন্ন লবণাক্ত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অবকাঠামো নির্মাণ, কম খরচে পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিসহ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে বাংলাদেশে আরও প্রসারিত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।