ডাকসু নির্বাচনে জয়ীরাও কারচুপির অভিযোগ করেছে: আসাদুজ্জামান রিপন

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারে ভাঙন রোধে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন। আজ বুধবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে আগে যারা হারত, তারা শুধু অভিযোগ করত। এবার যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, এ টু জেড সব প্যানেল ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছে। এমনকি যারা জয়ী হয়েছে, সেই ছাত্রশিবিরও একই অভিযোগ করেছে।’

আজ বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় নদীভাঙন রোধে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বামপন্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সবাই অভিযোগ করেছে। অভিযোগ করেনি এমন কোনো দল নেই। সুতরাং যে নির্বাচন এতভাবে কালিমালিপ্ত, এতভাবে অভিযুক্ত, এ নির্বাচনকে সবাই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডাকসুর ফলাফলের প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের ওপর পড়বে না। জাতীয় নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ দেওয়া হবে না।

নদীভাঙন ও অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আমরা নদীভাঙন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। টঙ্গিবাড়ী ও লৌহজং সবচেয়ে বেশি নদীভাঙনপ্রবণ। লৌহজংয়ের তিনটি ইউনিয়ন ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। টঙ্গিবাড়ীরও অনেক এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। এ নদীভাঙন হচ্ছে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু লুট এবং প্রাকৃতিক কারণে। যারা দলের ট্যাগ লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তারা যত বড় মাপের নেতা হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ আলম হোসেন, দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অলি উল্লাহ খান, ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান প্রমুখ।