পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ‘দা বাহিনীর প্রধানকে’ কুপিয়ে হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী দল ‘দা বাহিনীর প্রধানকে’ কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পণ্ডিতপাড়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরে দিবাগত রাত একটার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম নাছির উদ্দিন (৪৮)। তিনি টৈটং ইউনিয়নের পণ্ডিতপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘দা বাহিনীর প্রধান’ ছিলেন নাছির। তবে বছর দুয়েক আগে নাছির নিজের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। নাছিরের পরিবারের দাবি, তিনি আত্মসমর্পণের পর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে এসে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন নাসিরকে হত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবার দাবি করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পণ্ডিতপাড়া এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে নাছিরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি, নাসির গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোজাফ্ফরের বাড়ির সামনে যান। এ সময় মোজাফ্ফর ও তাঁর ছেলে আসহাব উদ্দিন নাসিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান।

এতে নাছির গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে পেকুয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মোজাফ্ফর ও তাঁর ছেলে আসহাব উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পেকুয়া থানা-পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাঁশখালীতে ৩৪ জলদস্যু আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিজের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন দা বাহিনী প্রধান নাছির। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলায় তাঁর জামিন হলে তিনি কারাগার থেকে বের হন। নাসিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্র, মারামারি ও বনআইনসহ অন্তত দেড় ডজন মামলা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাছিরের এক স্বজন বলেন, নাছির আত্মসমর্পণ করার পর ভালো হয়ে যেতে চেয়েছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি একটি মুদির দোকানও দিয়েছিলেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।