১৯ বছর পর গ্রেপ্তার হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি

নারায়ণগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া পলাতক এক আসামিকে গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
ছবি: প্রথম আলো

২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ সদরে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আদালত ২০১৮ সালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই মামলার আসামি শাহাদাৎ হোসেন ১৯ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। অবশেষে গতকাল শুক্রবার রাতে ধরা পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।

গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১-এর একটি দল। আজ শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১১-এর সহকারী পুলিশ সুপার রিজওয়ান সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শাহাদাৎ হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের আলীরটেক এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গত ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা থেকে আসামি শাহাদাৎকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব-১১-এর দপ্তরে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়। র‌্যাব ছায়াতদন্ত করে প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাবের সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১১ জুন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সুজন মিয়া, শাহাদাৎ হোসেন, আলামিন ও আবুল কালামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর আলামিন ও আবুল কালামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পর্যালোচনা করে জানা যায়, ঘটনার দিন নিহত শিশু আলীরটেকে একটি মাহফিল দেখার জন্য সুজনের বাড়িতে যান। সুজন ওই শিশুর দূরসম্পর্কের আত্মীয়। রাতে ওই শিশুকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পথে সুজনসহ চারজন একটি শর্ষের খেতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁরা লাশটি সেখানে রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বড় ভাই বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা একটি মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে শাহাদাৎ বলেন, ঘটনার পর তিনি সদর উপজেলার কাশিপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এরপর ২০০৬ সালে তিনি বিদেশে চলে যান। সেখানে চার বছর নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে দেশে ফেরত আসেন। এরপর বিয়ে করেন। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হলে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে চলে যান। এরপর ৭-৮ থেকে বছর ধরে সেখানেই ছিলেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।