চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে মা মেয়র জায়েদা খাতুনকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরায় হামলায় গত ১৯ জুলাই গুরুতর আহত হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনরে সাবেক মেয়ের জাহাঙ্গীর আলম। চিকিৎসার জন্য চলে যান সিঙ্গাপুরে। প্রায় ১৪ দিন পর আজ শনিবার সকালে দেশে ফিরেন জাঙ্গাঙ্গীর আলম। গাজীপুরে ছয়দানা এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরেই মা বর্তমান মেয়র জায়েদা খাতুনকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন তিনি। এ সময় শত শত নেতা–কর্মী তাঁর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন।

সকালে জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গী এলাকায় হাজারো নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন। পরে বিশাল মোটরসাইকেল ও গাড়ির শোভাযাত্রাসহ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গাজীপুরের ছয়দানাস্থ বাসভবনে নিয়ে আসেন তাঁরা।

জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বাসভবনের সামনে উপস্থিত নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন, ‘আমাকে হত্যার জন্য উত্তরায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়ায় আমি বেঁচে ফিরেছি। আমি মায়ের কোলে ফিরে এসেছি। তিনি আহত হওয়ার পর এবং তাঁর মা মেয়র জায়েদা খাতুনের বাড়িতে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা এবং গাজীপুরবাসী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। এ জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যাঁরা তাঁর ওপর ও তাঁর বাড়িতে হামলা করেছেন এবং তাঁর কর্মী হামিদুল ইসলাম জুয়েল মোল্লাকে হত্যা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এর আগে জাহাঙ্গীর আলম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাঁর কর্মী নিহত হামিদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি তাঁর কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি তাঁর বাবা, বোনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বাসভবনে পৌঁছালে সেখানে অপেক্ষমাণ বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলেম ওলামা, নেতা-কর্মী ও সাধারণ শত শত মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।