দাউদকান্দিতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে স্কুলছাত্রীকে নির্যাতন, আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১১) বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৫ নভেম্বর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখ এবং দু-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ১৮ নভেম্বর একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন ওই গ্রামের জিদান খান, ইমরান খান, শেলী আক্তার ও মিনা আক্তার। মামলার পর থেকে তাঁরা আত্মগোপন করেছেন। পুলিশও তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি।

শিশুটির মা প্রথম আলোকে জানান, শেলী আক্তারের দুটি হাঁস না পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর তাঁর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়ার একপর্যায়ে তাঁর শিশুকন্যাকে দিনদুপুরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটান শেলী, জিদান খান, ইমরান খান, মিনা আক্তারসহ আরও কয়েকজন। তাঁরা শিশুটিকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং নির্যাতনের ছবি-ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। বেদম প্রহারে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস বলেন, আসামিদের ধরতে গেলে আসামি শেলী আক্তার থানা-পুলিশকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান।

স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি কুমিল্লার অঞ্চল সমন্বয়ক আবদুল জব্বার বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। এর যথাযথ বিচার না হলে সমাজে এ ধরনের অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।