ফরিদপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে গৃহবধূ শান্তা (২২) হত্যা মামলার আসামি তাঁর স্বামী বাচ্চু শেখকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল প্রথম আলোকে বলেন, বাচ্চুকে ফরিদপুর আনা হয়েছে। র‌্যাব তাঁকে কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁর বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিস এগ্রো ফার্মে গৃহবধূ শান্তা ও বাচ্চু শেখ চাকরি করতেন। বাচ্চু ছিলেন সুপারভাইজার ও শান্তা ছিলেন শ্রমিক। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। শান্তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীতে এবং বাচ্চুর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলায়। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ওই এগ্রো ফার্মের শ্রমিকদের আবাসন কক্ষ থেকে শান্তার লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এর পর থেকে বাচ্চু শেখ পলাতক।

এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর শান্তার ভাই বাদী হয়ে বাচ্চু শেখকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

ফরিদপুর র‌্যাব-৮–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাচ্চু তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য বাচ্চু ফরিদপুর থেকে পালিয়ে নোয়াখালীতে আত্মগোপন করেছিলেন।