খুলনায় খাদ্য কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা

দুদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

শেখ মনিরুল হাসান (৫৫) বাগেরহাট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলির আগে খুলনার মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলায় শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩২ টাকা ও শেখ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগ-দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেবেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলায় শারমিন আক্তারকে (৪৯) ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সম্পদ অর্জনে স্ত্রীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করায় মামলায় মনিরুল হাসানকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। অন্য মামলায় শুধু মনিরুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে অনুসন্ধান শুরু হয়। ২০১৯ সালে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়।

মামলা দুটির এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শারমিন আক্তারের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানকালে মোট ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার দায়-দেনা ছিল। দেনা ছাড়া তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২ লাখ ২ হাজার টাকা। ওই সম্পদের বিপরীতে তাঁর গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ওই সময়ে তাঁর পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। শারমিনের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ আয় ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩২ টাকা। আর শেখ মনিরুল হাসান দায়িত্বশীল সরকারি পদে কর্মরত থেকে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করে স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে অর্জন দেখিয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে অপরাধ করেছেন। অন্য মামলায় শেখ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ করা হয়েছে।