স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ফকিরের (বা থেকে তৃতীয়) বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ বুধবার সকালে প্রার্থীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ফকিরের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর এবং তাঁর কর্মীদের মারধর ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক রাসেল মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থীর ভাতিজা শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন। পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসব ঘটনায় নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আজ বুধবার সকালে জুবলি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম (ট্রাক প্রতীক)। এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নৌকার সমর্থকদের হামলায় নিজ পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বোরহান উদ্দিন ও মোস্তফা নামের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে প্রথমে তাঁদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা দুজনই উপজেলার ভিতরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বিশকাকুনি ইউনিয়নের বাদেপুটিকা, খলিশাউড় ইউনিয়নের ইচুলিয়া, পূর্বধলা সদরের নারায়ণডহর, নারান্দিয়া ইউনিয়নের ভবের বাজার, ঘাগড়ার শিবপুর এবং বৈরাটি ও গোহালাকান্দা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। এ ছাড়া প্রতীক পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা তাঁর কর্মীদের মারধর এবং নির্বাচনী প্রচারেও বাধা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন আহমেদ খান, যুবলীগ নেতা কছিমদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য এরশাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাব্বি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক রাসেল মিয়া একটি মামলা করেছেন। মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন তিনি। আমরা প্রতিটি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’