নোয়াখালীতে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মুর্শিদা বেগম (৫২) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজির বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত নারীর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম মো. বাচ্চু মিয়া (৬২)। তিনি উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজির বাড়ির বাসিন্দা। নিহত নারীর স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন বাচ্চু মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিত্যানন্দপুর গ্রামে বাচ্চু মিয়া ও তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা বেগম একসঙ্গে বসবাস করতেন। তাঁদের চার ছেলে আছে। তবে তাঁরা কেউ বাড়িতে থাকেন না। আজ সকালে আমেনা বেগম নামের প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে মুর্শিদার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মুর্শিদার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাচ্চু মিয়াকে আটক করেছে। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী বাচ্চু মিয়া। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত স্বামী বাচ্চু মিয়াকেও আটক করেছে। নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।