সাত দিন পর বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট
টানা সাত দিন পানি ছাড়ার পর রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদের পানি কমায় আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে এসব জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদের পানি বাড়ায় ৫ আগস্ট বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছিল।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় হ্রদের পানি আর বাড়ছে না। কাপ্তাই হ্রদের বাঁধের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। তবে সম্প্রতি বৃষ্টিতে পানি ১০৯ দশমিক ৮৩ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছিল। হ্রদটিতে পানির ১০৮ ফুট উচ্চতাকে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মকর্তারা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে বাঁধের ১৬টি জলকপাট সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত খোলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকে। আজ সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৬ ফুট। গতকাল রাত ৯টায় ছিল ১০৭ দশমিক ৩৪ ফুট।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় রাঙামাটি জেলার অন্তত আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। অনেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন। রাঙামাটির বিভিন্ন সড়কও পানির নিচে তলিয়ে যায়। এখনো জেলার বেশ কিছু সড়কে পানি রয়েছে। এ ছাড়া রাঙামাটির পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
জানতে চাইলে রাঙামাটি শহরের বিহারপুর এলাকার বাসিন্দা শিপন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘর থেকে পানি সরে গেছে। তবে যাতায়াতের সড়ক থেকে এখনো পুরোপুরি পানি সরেনি।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে স্বাভাবিক হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও কাপ্তাই হ্রদে পানি প্রয়োজন হয়। সবকিছু বিবেচনা করে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ১৬ গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।