র্যাব পরিচয়ে ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ হাতে ছিনতাই
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার ব্যস্ততম বালুখালী এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাফ হাতে নিয়ে দুই ব্যক্তি সড়কে দাঁড়িয়ে লোকজনের শরীর তল্লাশি শুরু করেন। নিজেদের পরিচয় দেন র্যাব কর্মকর্তা বলে। আধা ঘণ্টার মধ্যে ওই দুই ব্যক্তি তিন রোহিঙ্গাকে আটকে তিনটি মুঠোফোনসহ নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। খবর পেয়ে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জানতে পারেন, ওই যুবক র্যাবের কেউ নন। লোকজনকে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নিতে তাঁরা ছিনতাইয়ে নেমেছিলেন।
দুই ব্যক্তির একজন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের আকবর আলী মুন্সির ছেলে মো. সুমন মুন্সি (৩২)। অপরজন খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিয়ারার ইব্রাহিম গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭)। এ সময় পুলিশ দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার করে র্যাব লেখা দুটি জ্যাকেট, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, একটি র্যাবের পরিচয়পত্র, একটি ওয়াকিটকি সেট, লুণ্ঠিত তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ২ হাজার ১১৫ টাকা।
গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দুজনকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, র্যাব পরিচয় দিয়ে এ দুই ব্যক্তি সড়কে লোকজনের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করছিলেন। তাঁদের হাতে ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ ও র্যাবের পোশাক পরা থাকায় লোকজন প্রথমে টের পাননি। পরে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
শেখ মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, সুমন মুন্সির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এক বছর সাত মাস কারাভোগের পর ২২ দিন আগে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি কক্সবাজার এসে আবার ছিনতাইয়ে নেমে পড়েন। গ্রেপ্তার ফারুক হোসেনও কয়েকটি মামলার আসামি। এক বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন ফারুক।
পুলিশ জানায়, এক বছর আট মাস আগে ঢাকার বঙ্গবাজারে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় কেনা হয় হ্যান্ডকাফ ও ওয়াকিটকি। জব্দ র্যাবের জ্যাকেট দুটি সাভারের একটি দরজির দোকানে তৈরি করা হয় বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন ওই দুই ব্যক্তি।