২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে আরও তিন কিশোরের মৃত্যু

পদ্মায় ডুবে মৃত্যুর খবরে নদীর ধারে এলাকাবাসী ভিড় করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে পবায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত নয় দিনে রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে ডুবে নয়জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে একজন শুধু মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মারা গেছেন। অন্যরা সবাই গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছেন।

আজ দুপুরে যে তিন শিশু মারা গেছে, তারা হলো কাটাখালী পৌরসভার ৫ নম্বর বাখরাবাজ মহল্লার মো. রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নূর ইসলামের ছেলে নূরুজ্জামান (১৪) ও মো. লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)।

আরও পড়ুন

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন জানান, তিন কিশোরই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তারা সাত বন্ধু একসঙ্গে আজ দুপুরের দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। সেখানে বেশি পানি ছিল না। তবে পাশেই পানি শোধনাগারের ১০টি মোটর চলে, হয়তো পাশেই গভীরতা বেশি ছিল। সেটা ওরা আন্দাজ করতে পারেনি।

বোরহান উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। যুবরাজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা বলেন, বেলা পৌনে দুইটার দিকে তাঁরা খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে ডুবুরি দল গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত রোববার মারা যাওয়া দুজন হলো রাজশাহী নগরের সায়েরগাছা এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে বাপ্পি হোসেন (১৬) এবং একই এলাকার শাহিন হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০)। বাপ্পির এ বছর রাজশাহী কোর্ট একাডেমি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। আর মনির থাইগ্লাসের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
গত শনিবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে আসাদ হোসেন (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক শিশু এবং ১৪ এপ্রিল দুই শিশু মারা যায়।