সিলেটে ১০ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

সিলেটে আজ শনিবার ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা
ছবি: সংগৃহীত

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দলের নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। আজ শনিবার সকালে নগরের বন্দরবাজার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং নয়াসড়ক এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

জামায়াতের নেতারা জানান, চলতি মাসে সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য দুই দফা আবেদন করা হয়েছিল। তবে পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতি চেয়েও মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়। অনুমতি না পাওয়ায় ওই দিন কর্মসূচি পালিত হয়নি। ওই দিন সিলেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় তৎপর ছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টার দিকে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে কর্মসূচি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার অতীতের মতো প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়ে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করতে চায়। পুলিশ প্রশাসন মানুষের ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার হরণ করতে সরকারের আজ্ঞাবহ বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বিশ্বাসী। সভা-সমাবেশ যেকোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। তারা নির্বাচনের আগাম পরিবেশকে চরমভাবে বিঘ্নিত করেছে। এর পরিণতি ভালো হবে না।

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে জামায়াত রাজপথে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, আমিরে জামায়াত শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-উলামাদের মুক্তি দিন।

সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমির আবদুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমির আনোয়ার হোসাইন খান, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির সোহেল আহমদ প্রমুখ।