পঞ্চগড়ে আহত অজগর উদ্ধার, ঠাঁই হলো রামসাগর জাতীয় উদ্যানে

পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিল থেকে একটি অজগর সাপকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গীগছ এলাকায় অজগরটি পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আজ শনিবার সকালে এটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, বিকেলে ঝালিঙ্গীগছ এলাকার লোকজন লোকালয়ের পাশের বিলে অজগরটিকে দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন সাপটি ধরে পাশের উঁচু জমিতে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতিবিষয়ক আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবা সেখানে গিয়ে সাপটি ধরে বন বিভাগকে খবর দেন। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা অজগরটি উদ্ধার করে তাঁদের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে সাপটির ক্ষতস্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।

আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবা বলেন, সাপটির শরীরের ওপরে একটি প্লস্টিকের রিং ঢুকে হয়তো দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। এতে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে প্রায় পচন ধরেছে। এ জন্য অজগরটি খাবার খেতে না পেরে হয়তো লোকালয়ের কাছাকাছি এসেছিল।

ফিরোজ আল সাবা বলেন, বর্তমানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক যেখানে–সেখানে ফেলার কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রায় এক মাস আগে পঞ্চগড়ের আমতলা এলাকায় যে অজগরটি আটকা পড়েছিল, সেটিও একটি ধানখেতের প্লাস্টিকের তৈরি জালে আটকা পড়েছিল। এ ছাড়া এই এলাকার বিভিন্ন খাল-বিলে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে বিভিন্ন ধরনের সাপ প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে।

পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুদন বর্মণ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, অজগরটি উদ্ধারের পর শরীরে আটকে থাকা প্লাস্টিকের রিংটি কেটে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। আজ সকালে সাপটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের আমতলা এলাকা থেকে প্রায় ৮ ফুট লম্বা ও ২০ কেজি ওজনের একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই সাপটিও দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছিল।