মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নেওয়ায় ব্যবসায়ী আটক, প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ

মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নেওয়ার অভিযোগে এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটক পুলিশ। তখন তাঁর দোকান বন্ধ ছিল। শনিবার বেলা তিনটার দিকে জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়কের পাশে ডলি প্লাজা বিপণিবিতানে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিতরণ করা ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাকের লিফলেট নেওয়ায় এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপি, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। গত বুধবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির এই ডাক দেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৭ জানুয়ারি ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে বিভিন্ন লেখাসংবলিত লিফলেট বিতরণ করে আসছেন জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের অদূরে শহীদ রফিক সড়কের পাশে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডলি প্লাজা নামের একটি বিপণিবিতানের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী মশিউর রহমান ওরফে সুমনকে লিফলেট দেন নেতা-কর্মীরা। লিফলেট বিতরণের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন নেতা-কর্মীরা। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশ ডলি প্লাজায় গিয়ে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ী মশিউর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা দেড়টার দিকে দোকান বন্ধ করেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা। এর পর তাঁরা সদর থানায় যান। পরে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মানিকগঞ্জ তৈরি পোশাক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চাপে আছি। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’

পোশাক ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, ‘আকস্মিকভাবে বিএনপির কয়েকজন কর্মী এসে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। আমাকেও একটি লিফলেট দেওয়ার সময় মোবাইলে তা ভিডিও করেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।’

ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে থানায় নেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের লিফলেট নেওয়ায় তাঁকে আটক করা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি হাবিল হোসনে বলেন, না, লিফলেটের বিষয়ে নয়, অন্য একটি বিষয়ে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছিল।