খাদ্য আমদানি কমাতে পলিশ করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর

নওগাঁ সরকারি কলেজে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ (মেশিনের সাহায্যে মসৃণ করা) করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সরকারি কলেজে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব পরামর্শ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্ব আজ বিপদে পড়েছে। যেখানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। তখন সেই বিপদের ছায়া বাংলাদেশের মতো দেশে পড়বে না, তা তো আশা করা যায় না। কারণ, আমরা আমদানি নির্ভরশীল দেশ। তবে যদি আমরা সঠিকভাবে আবাদ করি, আর যদি পলিশ করা চাল খাওয়া কমাতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের খাদ্য বাহির থেকে আনার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই।’

চাল পলিশ করার কারণে চালের খাদ্যাংশ নষ্ট হয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পলিশ করার জন্য বা চাল সিল্কি কিংবা মসৃণ করার জন্য চালের বাইরের কিছু অংশ নষ্ট হয়। প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চালে ৫ মেট্রিক চাল কমে যায়। এই অংশটুকু ভাত, সুজি কিংবা আটা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে বিশ্বের কিছু কিছু দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তারপরও মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দিন–রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছেন। আর একটি মহল বলার চেষ্টা করছে, এই ক্রাইসিস শুধু বাংলাদেশের। সরকার চেষ্টা করছে কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়। আর তারা চেষ্টা করছে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।

নওগাঁ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল ও জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হাসান।