সিলেটে ভেতর থেকে বন্ধ কক্ষে মিলল মামা-ভাগনের লাশ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাড়ির ভেতর থেকে বন্ধ কক্ষ থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুজন হলেন উপজেলার গোয়াসপুর রুইগড় গ্রামের ফরিদ আহমদ (৪৫) ও কানাইঘাটের সড়কের বাজার এলাকার রুবেল আহমদ (৩৬)। তাঁরা সম্পর্কে মামা–ভাগনে। গতকাল রোববার রাতে গোলাপগঞ্জ সদরের ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়ি গোয়াসপুর রুইগড় গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন তাঁর ভাগনে রুবেল আহমদ। সেলিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই ফরিদ আহমদ। ফরিদের সঙ্গে রুবেল চলাফেরা করতেন। সেলিমের বাড়ির একটি কক্ষে থাকতেন রুবেল।
রোববার রাতে রুবেল যে কক্ষে থাকতেন, সেটি ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান সেলিমের বাড়ির লোকজন। এ সময় ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে ঢুকে ফরিদ ও রুবেলকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুজন অতিরিক্ত মাদক সেবনে মারা গেছেন। বন্ধ থাকা কক্ষটিতে বমির আলামত পাওয়া গেছে। তবে ওই কক্ষে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। ওই কক্ষ থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা করা হবে।
রুবেলের মামার পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, রুবেল মামার বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে ছিলেন। সাধারণত রুবেল গভীর রাতে ঘুমিয়ে বিকেলের দিকে উঠতেন। রোববার সেলিমের পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যা পর্যন্ত রুবেলকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে না দেখে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিলেন।
দুজনের মরদেহ আজ সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।