আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ব্যালটে করতে হবে: নুরুল হক

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক। শনিবার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচন ইভিএমে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ব্যালট পেপারে করতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে গণ অধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন নুরুল হক।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন সজাগ ও সচেতন হয়েছে। তারা আর যেনতেন ভোট চায় না। অল্পদিনের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এ দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। নতুন সংগঠন হিসেবে দেশের জনগণ আমাদের পছন্দ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা দেশব্যাপী গণসংযোগ শুরু করেছি। সারা দেশে আমাদের সংগঠনের জনসমর্থন পাচ্ছি।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নুরুল হক আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হলে আগামী নির্বাচনে আমরা সারা দেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব এবং গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বেই ভবিষ্যতে সরকার গঠন করা হবে।’

তিস্তা চুক্তি না হওয়ার সমালোচনা করে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। অথচ ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভালো বলে শুনি। এরপরও সরকার এত দিনে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তিস্তা চুক্তি করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে অবশ্যই তিস্তা চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নুরুল হক বলেন, প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। মানুষের কষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অভাবী মানুষ দিশাহারা হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকার কিছুই করতে পারছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এ সরকার।

গণ অধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগীয় শাখার আয়োজনে প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক হানিফ খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সদস্যসচিব মাসুদ মোন্নাফ, ইব্রাহিম খোকন প্রমুখ।