সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর ঘর থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

লেয়াকত আলীর বাসা থেকে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাঁশখালী পুলিশ। আজ দুপুরে বাঁশখালী থানায়ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বিএনপি নেতা ও গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলীর (৫২) বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় গণ্ডামারা ইউনিয়নের খাসপাড়ায় তাঁর বসতঘর থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) লেয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নিয়ে বাঁশখালী পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়।

উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল দুটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি দেশি বন্দুক, দুটি একনলা কাটা বন্দুক, একটি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ রাউন্ড গুলি, ২৬টি কার্তুজ, পাঁচটি চায়নিজ কুড়াল, একটি কিরিচ, ছয়টি কাঠের বাঁটযুক্ত ধারালো রামদা এবং ৪০টি বিভিন্ন আকারের লাঠি। এ সময় তাঁর একজন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুর বাঁশখালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে লেয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে নিশ্চিত করেন আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহানুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ।

গ্রেপ্তার লেয়াকত আলী
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের মার্চে বিভিন্ন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে বহিষ্কার করে সেখানে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় সরকার। গণ্ডামারা ইউনিয়নে নির্মিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে ঠিকাদারের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলায় বাঁশখালী থানায় দায়ের করা মামলায় লেয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২৩ সালের ১৩ জুন জামিনে ছাড়া পান তিনি।

সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে লেয়াকত আলীকে নিয়ে তাঁর বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার ও লেয়াকত আলীর একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ২১টির বেশি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।