গুরুদাসপুরে ভ্যানচালককে গলা টিপে হত্যা, তরুণ গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এক ভ্যানচালককে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুলাধুনা গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় করা হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ভ্যানচালকের নাম সোহেল রানা (২৬)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ডোবারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইলামের ছেলে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোহেল তাঁর একমাত্র সন্তান। এক বছর আগে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন। তাঁর পুত্রবধূ এখন সন্তানসম্ভবা। এখন তাঁর ভবিষ্যৎ কী? ধারের টাকার জন্য আপন মানুষ ছেলেকে এভাবে হত্যা করবে, তা কল্পনাতেই আসেনি। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান।

গ্রেপ্তার আসামি হাসেম আলীর (২৫) স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোহেল রানার কাছে ধারের ৮০ হাজার টাকা পেতেন ফুফাতো বোনের স্বামী আকরাম হোসেন। সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না সোহেল। গত সোমবার পুরোনো একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কেনার জন্য সোহেল রানা ১৯ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ভ্যান কেনার কাজে আকরাম হোসেন তাঁকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ভ্যান কিনতে সহযোগিতা না করে উল্টো আকরাম হোসেন ও তাঁর সহযোগী হাসেম আলী কৌশলে সোহেলকে তুলাধুনা গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে যান। সেখানে সোহেলকে গলা টিপে হত্যা করে ১৯ হাজার টাকার নিয়ে লাশ ফেলে চলে যান তাঁরা।

এ ঘটনায় নিহত সোহেল রানার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে গত মঙ্গলবার রাতে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হাসেম আলীকে সিংড়া উপজেলার বিক্রমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। হাসেম আলীও একজন ভ্যানচালক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সোহেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন হাসেম আলী। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে আকরাম হোসেন (৩৫) জড়িত থাকার কথাও জানান তিনি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হাসেমকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামি আকরামকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।