পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাকিল মেসার্স নাঈম প্লাস নামের একটি বাল্কহেডে বাবুর্চির কাজ করতেন। একই বাল্কহেডে তাঁর স্বজন মো. সোহাগ সিকদার সুকানির কাজ করতেন। গতকাল রাত ৯টার দিকে সোহাগ সিকদার সুবিদখালী ঘাটে আল আমিন ট্রেডার্সের অফিস কক্ষে বসে হিসাব-নিকাশ করছিলেন। কাজ শেষে রাত ১১টার দিকে সোহাগ বাল্কহেডে ফিরে সেখানকার কেবিনের লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে শাকিলকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
সোহাগ সিকদার বলেন, ‘আমি সুবিদখালী ঘাটে হিসাব-নিকাশের কাজ করছিলাম। তখন চা পান করার কথা বলে শাকিল আমার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে বাল্কহেডে চলে আসে। আমি কিছুক্ষণ পর বাল্কহেডে ফিরে দেখি শাকিলের লাশ লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে ঝুলছে।’
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শাকিল আত্মহত্যা করেছেন। ওই বাল্কহেডের অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আত্মহত্যার আগে শাকিল মুঠোফোনে কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।